মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ ইমরান হাসান মাসুদ
মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম সর্ববৃহৎ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। যেখানে প্রতিদিন শত শত সাধারণ জনগণের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেই হসপিটালের (বি এন এ) এর সভাপতি মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিন কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ উঠে আসে।সেই সাথে শাহিনের অন্তরালে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন সহ মেডিকেলের নার্সদের অত্যাচারের শিকার সাধারণ রোগীরা।
তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ম-নীতির কোন শৃঙ্খলা নেই। নার্সিং সুপারভাইজার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন,সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছাঃ শাহানারা আক্তার, মোঃ আলিম উদ্দিন, মাকসুদা আক্তার, সহ মোছাঃ লিমা আক্তার এদের অত্যাচারে জিম্মি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাধারণ রোগীরা।
রোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, এই হসপিটালের নার্স এবং অফিসাররা বিভিন্ন কায়দা কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই অসহায় রোগীদের পরিবারের কাছ থেকে। টাকা দিলেই রোগীদের ভালো সেবা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। তা না হলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অফিসার ও নার্সদের উপর।
আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন আগে শাহীন এবং নাজনীন সুলতানা নামের এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। সেই রেকর্ড এর মধ্যে বারবার শোনা যায় নার্সিং সুপারভাইজার ইনচার্জ আক্তার হোসেনের নাম। সেই সাথে আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় শাহিন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করা হয়। এবং সিনিয়র ও জুনিয়র নার্সেরা লাইভ এবং সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে শাহীনকে বি এন এর সভাপতি পদ থেকে সরানোর জন্য চক্রান্ত চালিয়ে যায়।
সবার কথোপকথন গুলো থেকে জানা যায়, নার্সিং সুপারভাইজার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন তিনি একজন ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের ধূসর ছিলেন। এমন প্রমাণ বিভিন্ন ব্যানার ফিস্টনে দেখা যায়। সেই সাথে আওয়ামী লীগের আমলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করতেন এই আক্তার হোসেন। সে তৎকালীন সময় সাবেক কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে দাপটের সহিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সেই সাথে আক্তার হোসেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন সিনিয়র স্টাফ ও নার্সেরা। এমনই অভিযোগ ওঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে।