তিনি বলেন, সফরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ এবং তার সঙ্গে ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠক। এটি গত বছরের জুলাই আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করে।
এছাড়া, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতার ঐতিহাসিক বৈঠক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য একরকম ‘গেম-ওভার’ বার্তা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক রাজনৈতিক সমঝোতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) বাংলাদেশের সাবেক ভূমি মন্ত্রীর (আওয়ামী লীগ আমলের) £১৭০ মিলিয়ন মূল্যের ৩২০টি সম্পদ জব্দ করেছে। NCA জানিয়েছে, এটি এজেন্সির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সম্পদ জব্দের ঘটনা। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যে বিশ্বব্যাপী লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধারে কতটা সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে, এই ঘটনাটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
সফরে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা, সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তারা বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। এসব আলোচনায় বিশ্বজুড়ে লুট হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সবশেষে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কিছুটা আশার সঞ্চারও এই সফরের মাধ্যমে হয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।