শহীদ জিয়ার আদর্শে ও তারেক জিয়ার নির্দেশে ছাত্রদল এগিয়ে যাবে – বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন
ধামরাই( ঢাকা) প্রতিনিধি:
ছাত্র গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিন বলেন, ৫ আগষ্টের আগে যারা আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এখন আবার বিএনপিতে আসার চেষ্টা করছে তারা মীরজাফর। তাদের থেকে সাবধান।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, যাকে কেন্দ্র করে আজকের গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ। পরিপূর্ণ সফলতা আসুক আরিফুল ইসলাম আরিফের মাধ্যমে।
ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তমিজ উদ্দিন বলেন, ছাত্রদল এগিয়ে যাবে তারেক জিয়ার নির্দেশে, খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে। আমার ব্যবসা কেন্দ্র গুলো ছিল পুলিশের দখলে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের নির্যাতন এতো বেশি ছিল। তারপরও আমরা হতাশ হয় নি। বুঝতে পেরেছি হাসিনা সরকারের পতন হবেই। তবে দির্ঘদিন ধরে যুবদলের কোন কমিটি হয় নি। অনেকেই দির্ঘদিন ধরে যুবদল করেও কোন পদ পদবি পায় নি।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগষ্টের পর কিছু নেতার সৃষ্টি হয়েছে। যারা মিল কারখানা দখল করে আছে। কারা চাঁদা বাজি করে যাচ্ছে, তাদেরকে বের করার চেষ্টা করতে হবে। সেই দিকে নজরদারি করতে বলেন ছাত্রদলকে। এই ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগের নেতা নূরে আলম নান্নু সব সময় সাবেক এমপি বেনজীর আহমদ এর সাথে রাজনীতি করেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিল দুই বার, আজ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এরা রাজাকার। এরা বিএনপির জন্য ক্ষতিকর।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, যারা মীরজাফরি করেছেন তাদের থেকে সাবধান। শহীদ জিয়ার মৃত্যুর সময় তার কোন সম্পদই ছিল না। বেগম খালেদা জিয়াকে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দির্ঘদিন জেল খাটিয়েছেন। ফসলি জমির মাটি কাটা শুরু করেন আওয়ামী লীগ। যারা সংগঠন নিয়ে মিথ্যাচার করে তারা সকল ক্ষেত্রে অপমানিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এমপি এমনকি আমার দলের ব্যারিষ্টার জিয়াও আমার ভোটের রেকর্ড ভাঙতে পারে নি। সামনে নির্বাচন অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনেক দূর্বল। জনগণ শুধু ইউএনও আর ওসিকে চেনেন। চাঁদাবাজিকে কখনো সমর্থণ করবেন না। বিএনপি একটি সর্ব বৃহৎ দল, বিপুল ভোটে আমরা বিজয় লাভ করবো। আমাদের একত্রে থাকতে হবে। ছাত্রদলকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিচার বিশ্লেষণ করে অতীত দেখে,আচার-আচরণ দেখে ছাত্র দলের নেতা সৃষ্টি করার অনুরোধ করেন প্রধান অতিথি।
গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সহ- দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আমার ইউনিয়ন এবং এলাকাবাসী আমাকে যে গণ সংবর্ধনা দিয়েছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এলাকার মানুষ কাজ বাদ দিয়ে আমার এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণির রাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে দেশের কোন সমস্যা থাকবে না। কৃষকদের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে ৩১ দফার মধ্যে। সারা দেশের সাথে ঢাকার সাভার, ধামরাইয়ে সব চেয়ে বেশি জুলাই আন্দোলন হয়েছে।
গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। কেউ যেন চাঁদাবাজি, জমি দখল, সাধারণ জনগণের উপর নির্যাতন করতে না পারে। আমরা দির্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তাই সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। কেন জানি না খুনি হাসিনার দোষরদের ঢিলেঢালা ভাবে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোষরদের ধরে পুলিশে দেওয়ার আহবান করেন বক্তারা। হাসিনা পরিবারে বেইমানী রয়েছে কিন্তু জিয়া পরিবারের মাঝে কোন বেইমানি নেই।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের কারানির্যাতিত ছাত্র নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক ( যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) নিযুক্ত হওয়ায় ধামরাইয়ের সন্তান আরিফুল ইসলাম আরিফকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্র- গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে বালিয়া ইউনিয়নের খাগুটিয়া এলাকায় এই ছাত্র গণ সংবর্ধণার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি তমিজ উদ্দিন তানভীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবাল,ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন সুমন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি সজিব মজুমদার ও ওলিউজ্জামান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনাম ও মহিউদ্দিন রুবেল, ধামরাই উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ চৌধুরী রবিন, ধামরাই উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি আমেনা লায়লা কাউকাব, যুবদল নেতা এইচ এম লুৎফর রহমান, যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম সবুজ।